কৃষক সমাবেশে আগত কৃষকদের সাথে জনাব এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, মাননীয় সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম -৬ (রাউজান)
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ২০ নভেম্বর ২০১৬ চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় পালন করা হল ১৪২৩ বাংলা সনের নবান্ন উৎসব। এ উপলক্ষ্যে রাউজান উপজেলার ডাবুয়া তারাচরন শ্যামাচরন হাইস্কুল মাঠে এক কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শামীম হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। রাউজানের বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে আগত প্রায় দুই হাজার কৃষক-কৃষাণীর এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব এ কে এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, রাউজান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব নুর মোহাম্মদ, ভাইস-চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, রাউজান; জনাবা ফৌজিয়া খানম, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, রাউজান ; রাউজানের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের চেয়ারম্যানগন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধানগন।
সমাবেশের আগে প্রধান অতিথি মহোদয় পাকা ধান কর্তন করেন এবং নবান্ন উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত বনাঢ্য র্যালিতে অংশগ্রহন করেন। পরবর্তীতে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ নবান্ন উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত পিঠা স্টল পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী সকল কৃষক-কৃষাণীর জন্য প্রধান অতিথির মহোদয়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগে টুপি সরবরাহ করা হয় যা পড়ন্ত বিকেলের কৃষক সমাবেশের শোভা বহুলাংশে বৃদ্ধি করে।
কৃষক সমাবেশে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কৃষক-কৃষাণীরা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। প্রধান অতিথির বৃক্ততায় চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্ত আর দূরদর্শী নেতৃত্বগুনের জন্যই দেশেই কৃষি ক্ষেত্রে অনুসরনীয় সফলতা এসেছে। কৃষকের শ্রমে খাদ্য উৎপাদনের যে সফলতা এসেছে তা ধরে রাখতে হবে। সে জন্য কৃষি জমিতে ঘরবাড়ি নিমার্ন করা যাবে না। প্রয়োজনীয় সুইচ গেট, পাকা নালা, কালভার্ট তৈরী করা হবে। ব্যবহার বাড়াতে হবে জৈব সারের। কৃষককে লাভবান করার জন্য জোরদার করা হবে কৃষি বিপনন ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মাননীয় সংসদ সদস্য এর ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাউজান উপজেলায় প্রায় এক লক্ষ গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। নিরাপদ সবজী উৎপাদনের জন্য এক হাজার কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ।